উত্তরের নদীবিধৌত জেলা গাইবান্ধায় সব কটি নদ-নদীর পানি কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার কমেছে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টা থেকে আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি কমে।
পানি কমতে শুরু করায় চরের নিম্নাঞ্চল থেকেও পানি নেমে যাচ্ছে। বিশেষত নদী তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু এলাকা, আবাদি জমি ও রাস্তাঘাট আগের মতো দৃশ্যমান হচ্ছে।
আজ দুপুরে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি কমেছে। আজ দুপুর ১২টায় সব কটি নদীর পানিই বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার ভাঙন শুরু হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার খারজানি ও কুন্দেরপাড়া গ্রামে ভাঙন অব্যাহত আছে। গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ভাঙন রোধে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ করা হবে।