গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) শূন্য আসনের উপনির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ভোট গ্রহণের সকল সরঞ্জাম। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এসব সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। ভোট সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই উপনির্বাচনের দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান, নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রেই থাকছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ ও আনসারের সমন্বযয়ে ৬টি মোবাইল টিম মাঠে কাজ করবে। কেন্দ্রেগুলোতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ১৪৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৯৫২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১৯০৪ জন পোলিং অফিসার।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ঢাকা অঞ্চল ও গাইবান্ধা-৫ রিটানিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, এই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করার জন্য আমরা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিদের্শনা অনুযায়ী সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া র্যাবের ৮টি টিম কাজ করবে এবং ৩টি টিম স্ট্রাইটিং হিসেবে কাজ করবে। ৫ প্লাটুন বিজিবি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত আনসার থাকবে, প্রতিটি কেন্দ্রে গুরুত্ব অনুযায়ী ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। চরাঞ্চলে ভোট কেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনা করে সেখানে অতিরিক্ত ফোর্স থাকবে। মোবাইল টিমসহ প্রত্যক ইউনিট কাজ করবে।
নিবার্চন অফিস সূত্র জানায়, সাঘাটা উপজেলা ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলা ৭টিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসন গঠিত। ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৩ জন ও সাঘাটা উপজেলায় ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে দুই উপজেলায় পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলের রাব্বী মিয়া’র মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।