গরমে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা যেমন- ট্যান, ব্রণ, লালচে ভাব, জ্বালা, চুলকানি, ব়্যাশ দেখা দেয়। ত্বকের এই সব সমস্যা দূর করতে পারে শসা। এতে ৯০ শতাংশের বেশি পানি থাকায় ত্বকের জন্য খুব উপকারী। শসা ত্বককে আর্দ্র রাখে। গরমের সময় শসা খেতেও যেমন ভালো লাগে, তেমন ত্বকে লাগালেও যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ ত্বকের টক্সিন বের করে দিতে পারে।
গরমে ত্বকের যত্নে যেভাবে শসা ব্যবহার করবেন-
১. মুখে সরাসরি শসার টুকরা লাগাতে পারেন। শসা ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না এবং ফোলাভাবও কমায়। এজন্য খোসাসহ শসা পাতলা স্লাইস কেটে নিন। প্রয়োজন হলে শসার টুকরোগুলি ১০ মিনিট ফ্রিজে রাখতে পারেন। চোখসহ পুরো মুখে শসার স্লাইসগুলো লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপরে তুলে ফেলুন। তবে এর পর মুখ ধোওয়ার দরকার নেই। এ ছাড়া, মুখে শসার টুকরো ঘষলেও অতিরিক্ত তেল ও ময়লা সাফ হয়ে যায়।
২. অ্যালোভেরা এবং শসা, উভয় প্রাকৃতিক উপাদানই ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এই ফেস মাস্ক ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ কমায়, ত্বককে হাইড্রেট এবং তরতাজা রাখে। শসা এবং অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধোওয়ার পর এই কুলিং ফেস প্যাকটি লাগান। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। তারপর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এতে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হবে।
৩. গরমে ত্বকে জ্বালাভাব, চুলকানি হলে দই এবং শসার ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন। এই প্যাক ত্বককে প্রশমিত করে। রোদের তাপে ত্বক অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে জ্বালাভাব, ট্যান পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ফেস প্যাক ত্বককে ট্যান মুক্ত এবং প্রশমিত করে। এজন্য শসার পেস্টে এক চা চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। গলায় ও মুখে পেস্টটি লাগান ভালো ভাবে। হাতেও ব্যবহার করতে পারেন। ২০ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এর পর ত্বককে হাইড্রেট করার জন্য অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার লাগান।
৪. শসা কুচি করে ব্লেন্ড করুন। এতে সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন । পুরো মুখে প্যাকটি লাগিয়ে শুকোতে দিন। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস মাস্ক ত্বক উজ্জ্বল ও ঝবঝকে রাখবে।