গভীর রাতে জাহাজে অগ্নিকাণ্ড, উদ্ধার ৩১

0
37
কুতুবদিয়া পয়েন্টে এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
 
রোববার (১৩ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত ওই জাহাজে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল। কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব অগ্নিকাণ্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
এর আগে, শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে কুতুবদিয়া পয়েন্টের পশ্চিমে অর্থাৎ কুতুবদিয়া কৈয়ারবিল এলাকার পশ্চিমে নোঙর করা বিএলপিজি সুফিয়া নামে ওই জাহাজে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
 
জানা গেছে, কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল পয়েন্টে নোঙর করা ‘সুফিয়া’ নামে এলপিজি বহনকারী একটি লাইটারেজ জাহাজে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার পর প্রথমে নাবিকরা দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ থেকে সাগরে লাফ দেয়। পরে নাবিকদের উদ্ধার করা হয়।
 
কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকির জানান, গভীর সাগরে নোঙর করা ওই জাহাজে হঠাৎ দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ, একটি টাগবোট ও চারটি স্পিডবোট উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সঙ্গে নৌবাহিনী ও পোর্টের অগ্নিনির্বাপক দলসমূহ যৌথভাবে কাজ করছে।
 
তিনি জানান, রোববার ভোর পর্যন্ত ওই জাহাজে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
 
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ‘বাংলার জ্যোতি’ নামের একটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগে। ওইদিন আগুন লাগার একপর্যায়ে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটলে দগ্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.