বিশ্ব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে গত বছরের তুলনায় ১৬ ধাপ এগিয়ে ১৪৯তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিস্থিতি ‘বেশ গুরুতর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে সূচকে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) ২০২৫ সালের প্রকাশিত সূচকে তা ওঠে এসেছে। শুক্রবার (২ মে) প্রকাশিত হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন।
মোট পাঁচটি (রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, নিরাপত্তা ও আইন) ক্যাটাগরিতে সূচক করা হয়েছে। এবারও সূচকের শীর্ষে আছে নরওয়ে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে এস্তোনিয়া ও নেদারল্যান্ডস। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে চীন, উত্তর কোরিয়া ও আফ্রিকার ইরিত্রিয়ায়।
এদিকে, বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে ভারতের অবস্থান ১৫১তম, পাকিস্তানের ১৫৮তম। তবে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল (৯০তম), শ্রীলংকা (১৩৯তম) ও মালদ্বীপের (১০৪তম) চেয়ে।
আরএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর মুক্ত সংবাদমাধ্যমের বিবেচনায় ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৩ দশমিক ৭১ নম্বর; যা গত বছর (২০২৪) ছিল ২৭ দশমিক ৬৪।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার সময় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২১তম। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৫ বছরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ৪৪ ধাপ পিছিয়েছিল বাংলাদেশ।
২৩ বছর ধরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বার্ষিক সূচক প্রকাশ করে আসা প্রতিষ্ঠান আরএসএফের মতে, বিশ্বে এবার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সূচকের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বের অর্ধেক দেশের জন্য সাংবাদিকতার অনুকূল পরিবেশ ‘খারাপ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এক-চতুর্থাংশেরও কম দেশে পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’।