খোলামেলা পোশাকে আপত্তি আছে এই অভিনেত্রীর

0
189
তানিশা সন্তোষী, ইনস্টাগ্রাম

তানিশা সন্তোষী

তানিশা সন্তোষী
ইনস্টাগ্রাম

রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত ‘গান্ধী গডসে: এক যুদ্ধ’ ছবির মাধ্যমে বিটাউনে অভিষেক হলো তানিশার। নিজের অভিষেক ছবির প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, ‘সাহস সঞ্চয় করে বাবাকে বলে ফেলি, অভিনেত্রী হতে চাই। তবে পরিচালনাও নিশ্চয় করব। কিন্তু এ ছবির ক্ষেত্রে বাবা না বলতে পারেননি। ছোটবেলা থেকে মঞ্চে অভিনয় করে আসছি। তাই অভিনয়েও আমি অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ।’

সাধারণত রোমান্টিক ছবির মাধ্যমেই বলিউডের তারকাকন্যাদের ছবির দুনিয়ায় পা রাখতে দেখা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে উল্টো পথে হেঁটেছিলেন তানিশা। ছবিটি শৈল্পিক ঘরানার। প্রথার বাইরে গিয়ে অভিষেক প্রসঙ্গে এই নবাগত নায়িকা বলেন, ‘ছবিতে আমি “সুষমা”র চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটি ছবির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুষমার কারণে গান্ধীজির মধ্যে এক বদল এসেছিল। তবে চরিত্রের চেয়ে ছবির একটা দৃশ্য আমাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছিল। এই দৃশ্যের কারণেই আমি ছবিটি করতে চেয়েছিলাম। এই রকম দৃশ্যে খুব কম অভিনয়শিল্পী অভিনয়ের সুযোগ পান। তাই চিরাচরিত রোমান্টিক চরিত্রের মাধ্যমে আমার বলিউডে অভিষেক হয়নি।’

তানিশা সন্তোষী

তানিশা সন্তোষী
ছবি : সংগৃহীত

ক্যামেরার পেছনের মতো ক্যামেরার সামনেও সমান স্বচ্ছন্দ তানিশা। শুটিংয়ের প্রথম দিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই লাজুক প্রকৃতির। কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে সব লজ্জা, সব ভয় কেটে যায়। শুটিংয়ের আগের দিন রাতে উৎকণ্ঠায় আমার ঘুম আসছিল না। বেশ ভয় করছিল। কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেই সব ভয় গায়েব হয়ে গিয়েছিল। তখন নিজেকে সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছিল।’ এখন মনপ্রাণ দিয়ে অভিনয় করতে চান তানিশা। তবে এ ব্যাপারে কিছু ছুঁতমার্গ আছে তাঁর। তানিশা সাফ জানান, ‘আমি পর্দায় কখনো সাহসী হতে পারব না। খোলামেলা পোশাকে আপত্তি আছে। চুম্বনদৃশ্য আমি করব না।’

তানিশা সন্তোষী

তানিশা সন্তোষী
ইনস্টাগ্রাম

বাবার হাত ধরে ছবির সেটে সেটে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসতেন তানিশা। বিভিন্ন ছবির সেট থেকেই অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রথম মায়ের কোলে করে “পুকার” ছবির সেটে গিয়েছিলাম। কাশ্মীরে ছবিটির শুটিং হয়েছিল। সেটে থাকাকালে অনেক বড় তারকাদের অভিনয় সামনে থেকে দেখেছি। তাঁদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। “লজ্জা” ছবির শুটিংয়ের সময় আমি খুবই ছোট। কিন্তু মাধুরীজি ও রেখাজির অভিনয় দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। একইভাবে “আজব প্রেম কি গজব কাহানি”র শুটিংয়ের সময় রণবীর কাপুর ও ক্যাটরিনা কাইফের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। রণবীর পরিচালকের কাছে নিজেকে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করে দেন।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.