জলবায়ুবিষয়ক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্বের কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড’–এ ভূষিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)–সমর্থিত বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি (জিসিসিএম) তাঁকে এ পুরস্কারে ভূষিত করে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলন (কপ–২৮)–এর ফাঁকে একটি উচ্চ স্তরের প্যানেল অধিবেশনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস এবং আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপের কাছ থেকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
কপ-২৮ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের প্রধান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং পরিবেশবিদ হাছান মাহমুদ এ সময় ‘অভিযোজন এবং সহনশীলতার জন্য জলবায়ু গতিশীলতাকে বাগে আনা’ শীর্ষক উচ্চ স্তরের এ প্যানেল অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
জলবায়ু গতিশীলতার বিষয়টিকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আলোচনার মূলধারায় আনার এখনই উপযুক্ত সময় বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ক্লাইমেট মোবিলিটি সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুর কারণে বাধ্য হয়ে অভিবাসন গ্রহণ করা এবং বাস্তুচ্যুতির দিকটি বিশ্বনেতাদের দৃষ্টিতে আনেন। এর আগেও বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকায় আইওএমের সহযোগিতায় আয়োজিত দুটি সংলাপ এবং গত বছর মিসরের শারম এল শেখে কপ–২৭ এ বিষয়টি তুলে ধরে।
একই সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত ৪ হাজার ৪০০ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বহুতল সামাজিক আবাসন প্রকল্প নির্মাণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদ্যোগের নানা দিক তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং জলবায়ু গতিশীলতা উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অব্যাহত নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বের সমর্থন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সন্তুষ্ট যে এখন জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর একটি বিস্তৃত জোট এই ইস্যুতে একযোগে কাজ করছে।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে সম্মেলনস্থলে কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ সময় বন ও পরিবেশসচিব ফারহিনা আহমেদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।