বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানিতে বিদেশি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের ন্যায্য বাণিজ্যচর্চা এ খাতের টেকসই হওয়ার মূল চাবিকাঠি। এ লক্ষ্যে সততার সঙ্গে ব্যবসা, বিশেষ করে পোশাক আমদানিতে নীতি-নৈতিকতা মেনে চলতে বিদেশি ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। রানা প্লাজা ধসের দশ বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার উদ্দেশ্যে কিছু কিছু ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের শোষণমূলক বাণিজ্যচর্চার কারণে শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠা কঠিন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাও শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শিল্পের টেকসই হওয়ার পথে অন্যতম বড় বাধা। রানা প্লাজা ধস পোশাক খাতে সুশাসনের ঘাটতির পরিণতি। এর মধ্যে রয়েছে দুর্বল, মানহীন কাঠামো ও কর্মপরিবেশ, অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা মান, শ্রম অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি ও শ্রম আইনের লঙ্ঘন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পর পোশাক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং নিরাপত্তা মান উন্নয়নে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া হয়। এসব উদ্যোগের ফলে গত ১০ বছরে পোশাক খাতের নিরাপত্তা মানে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবি) পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড সনদের শীর্ষ ১০০-এর অর্ধেকই বাংলাদেশের পোশাক কারখানা। মোট ১৮৭ পোশাক কারখানা এই সনদ পেয়েছে। আরও ৫০০ কারখানা রয়েছে এ প্রক্রিয়ায়। এই উন্নতি সত্ত্বেও শ্রম অধিকার সংক্রান্ত বিজনেস মডেলে এখনও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। এটি এখনও যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।