ইউক্রেনের বিমানবাহিনী আজ মঙ্গলবার বলেছে, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে রাশিয়ার নৌবহরের একটি জাহাজ তারা ধ্বংস করেছে। ওই জাহাজে রুশ বাহিনীর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ড্রোন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে সন্দেহ তাদের। এই ড্রোন ইরান থেকে এসেছিল বলেও সন্দেহ ইউক্রেনের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামের এক পোস্টে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, স্থানীয় সময় ২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এই হামলা চালানো হয়। ফিওদেসিয়া এলাকায় রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের জাহাজটিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়।
ক্রিমিয়ার রুশ নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি হলো ফিওদেসিয়া। এর আগে এক বার্তায় ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, নভোচেরকাস্ক ধ্বংস করা হয়েছে। ওই বার্তায় জাহাজটিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরানের দেওয়া বিস্ফোরক ড্রোন বহন করা হচ্ছিল বলে সন্দেহের কথা জানানো হয়। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সাধারণত এই ড্রোন ব্যবহার করে।
বিমানবাহিনীর কমান্ডেন্ট মিকোলা ওলেচচক ফিওদেসিয়ায় রাশিয়ার নৌঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ভিডিও পোস্ট করেছেন।
ক্রেমলিন–সমর্থিত ক্রিমিয়ার প্রধান সের্গেই আকসিওনভ বলেছেন, ফিওদেসিয়ায় শত্রুরা হামলা চালিয়েছে। বন্দর এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণ থেমে গেছে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান আকসিওনভ। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ির বাসিন্দাদের দূরে সরে যেতে বলা হয়েছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রায়ই ক্রিমিয়ায় হামলা চালায় ইউক্রেন। গত বছরের এপ্রিলে ক্রুজার মস্কোভা ডুবিয়ে দেয় ইউক্রেন।
এএফপি