মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে একাই লড়েছিলেন তিলক ভার্মা। তার দুর্দান্ত ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তার পরেও সেই পুঁজি যথেষ্ট হলো না। বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসির তাণ্ডবের পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ক্যামিওতে এই লক্ষ্য সহজেই উতরে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। তাতে ৮ উইকেটের দাপুটে জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে কোহলির দল।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে নেমেই ঝড়ো শুরু করেন ব্যাঙ্গালুরুর দুই ওপেনার ডু প্লেসি ও কোহলি। ৮৯ বলে ১৪৮ রানের জুটি গড়ে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে নেন তারা। ২৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করা ডু প্লেসি শেষদিকে শিকার হন আরশাদের। এর আগে তিনি খেলে যান ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস। ডু প্লেসি বিদায় নিলেও লড়তে থাকেন ৩৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করা কোহলি। অপরপ্রান্তে দিনেশ কার্তিক নেমে বিদায় নেন ডাক মেরে। তবে ম্যাক্সওয়েল তা করেননি। ৩ বলে ২ ছক্কায় ১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নিশ্চিত করেন দলের জয়। কোহলি খেলেন ৫ ছক্কা ও ৬ চারে অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নামতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মুম্বাই। ২০ রানে তিনটি এবং ৪৮ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। সেখান থেকে ২০ বছর বয়সী বাঁ-হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার তিলক ভার্মা তেলেসমাতি দেখিয়েছেন। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় সামলে ৭ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দলটির ওপেনার ইশান কিশান ১৩ বলে ১০ রান করে ফিরে যান। তিনে নামা ক্যামেরুন গ্রিন করেন ৫ রান। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১০ বলের মুখোমুখি হয়ে মাত্র ১ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন। এরপর সূর্যকুমার যাদব ১৫ রান করে আউট হন।
পরের লড়াইটা পাঁচে নামা তরুণ তিলক ভার্মার একার। তিনি ৪৬ বলে ৮৪ রানের ক্যারিয়ার সেরা হার না মানা ইনিংস খেলেন। চারটি ছক্কা ও নয়টি চার হাঁকান। তার সঙ্গে নেহাল ওয়াডহেরা ২১ রান ও অর্শদ্বীপ খান ১৫ রান যোগ করেন।
ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে মোহাম্মদ সিরাজ দারুণ বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তিনি নেন এক উইকেট। রিচ টপলে ২ ওভারে ১৪ রান খরচ করে এক উইকেট দখল করেন। করম শর্মা ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট।