ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে, এসব কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বিদেশি যেসব দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে আছেন, তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কোনো ধরনের শিথিলতা প্রদর্শন করবে না।
বিদেশি কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে। বিরোধী দল বিএনপি নেতারা এর সমালোচনা করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সরকারের ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।
এমন পটভূমিতে আজ এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টিতে বক্তব্য দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির শাসনামলে তাদের সৃষ্ট জঙ্গিবাদী শক্তির হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর কূটনীতিকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়েছিল। এটি কোনো স্থায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না।’
ঢাকায় হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালের ১ জুলাই। সেই ঘটনার পর বিদেশি কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় সেই বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে। এই বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বিবৃতি দিয়ে একই ধরনের বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দল বিএনপি নেতাদের সমালোচনামূলক বক্তব্যের নিন্দা করেন ও প্রতিবাদ জানান।
আওয়ামী লীগের এই নেতা উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে বিদেশি কূটনীতিকেরা স্থায়ীভাবে যে নিরাপত্তা পেয়ে আসছেন, তা বহাল থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন হালে পানি না পাওয়ায় দলটির নেতারা প্রতিদিন এক ঘেয়ে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারা (বিএনপি) শুধু সরকারের সমালোচনার নামে সমালোচনা করছেন। শেখ হাসিনার গৃহীত উন্নয়ন নীতির কারণে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার বিপরীতে বিএনপির হাতিয়ার হল, ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও উসকানির্মলক বক্তব্য।’
বিএনপি নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে গণ–অভ্যুত্থান সৃষ্টির যে কথা বলছেন, তারও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপির লক্ষ্য যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, এর বিপরীতে আওয়ামী লীগের পথ চলার শক্তি শুধু জনগণ। ফলে বিএনপির মুখে গণ–অভ্যুত্থানের কথা হাস্যকর।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক উপায়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিল।