কুষ্টিয়ায় দোকানের সাটার কেটে ইজিবাইকের ব্যাটারিসহ অন্যান্য মালপত্র চুরির ঘটনাতেও জড়িত ছিল ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাস্তা ইউনিয়নের সদস্য নুরুজ্জামান দেওয়ান ওরফে জামানের দল। সম্প্রতি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ফলে ওই মামলাতেও তাঁকেসহ দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
এর আগে গত ২ ও ৩ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও শ্যামপুর এলাকা থেকে ছিনতাই–ডাকাতিতে জড়িত সাতজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ। তাদের মধ্যে নুরুজ্জামান হলেন দলটির পৃষ্ঠপোষক। তিনি ছিনতাই করা মালপত্র স্বপ্লমূল্যে কিনে নিতেন। তার দলের সদস্যরা হলো— হারুন বেপারী, শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, মানিক ওরফে মইনুল ওরফে মাইনুদ্দিন, তারা মিয়া, মো. কামরুল ও আসাদ খান। তাদের কাছ থেকে ১৬টি ব্যাটারি, একটি বড় ট্রাক, দুটি চাপাতি, ছুরি, তালা কাটার যন্ত্র, সাবল ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
ডিবির মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার আনিচ উদ্দীন বলেন, চক্রটিকে গ্রেপ্তারের পর কুষ্টিয়া মডেল থানার একটি মামলার আসামি হিসেবে তাদের শনাক্ত করেন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানকার লাহিনী বটতলা মেডিকেল কলেজ রোডের ‘সততা অটোস’ নামের দোকান থেকে ইজিবাইকের ব্যাটারি, নগদ টাকা, টেবিল ফ্যান ও মোবাইল ফোন চুরি হয়। একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে গ্রেপ্তারকৃতদের চুরি করে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে নম্বরপ্লেট মিলিয়ে দেখা যায়, ওই ট্রাকটিই জব্দ করেছে ডিবি। সেইসঙ্গে ওখানকার চুরির মালপত্রগুলো তাদের কাছে পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার নুরুজ্জামান ও হারুনের নামে পাঁচটি করে এবং শাহাবুদ্দিন ও মানিকের নামে তিনটি করে মামলা আছে। এই দলটি বাসা, দোকান ও গুদামের তালা কেটে চুরি–ডাকাতি করে আসছিল।