কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

0
10
আসামি জিয়াউর রহমান

ঢাকার দোহারে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আসামি জিয়াউর রহমানকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও আদেশ দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান ঢাকা জেলার দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনা মিয়ার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী বাড়ির পাশে সবজি ক্ষেত্রে সবজি আনতে যান। ফেরার পথে আসামি জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক তাকে পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ধারালো অস্ত্র (চাকু) দিয়ে কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই ঘটনায় কিশোরীর বাবা দোহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ১২ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ মেহেদী হাসান আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

এদিকে রায়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এরশাদ আলম (জর্জ) বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ের মধ্যদিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো।

তিনি আরও বলেন, আশা করছি শিগগির দণ্ডপ্রাপ্তকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.