কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের আনোয়ারার উপকূলে লবণবাহী ১৬টি ট্রলার ডুবে ৭২ জন মাঝি-মাল্লা ও শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় চারটি ট্রলারের ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ। বাকিদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের আনোয়ারা উপকূলের ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে শঙ্খ নদীর মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া থেকে ১৬টি ট্রলার লবণবোঝাই করে চট্টগ্রাম শহরের মাঝিরঘাটে যাচ্ছিল। পথে বঙ্গোপসাগরের আনোয়ারা উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছালে কালবৈশাখীর দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারগুলো। এতে এক এক করে সবগুলো ট্রলার ডুবে যায়। এতে প্রায় ৩০ হাজার মণ লবণ পানিতে তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ ৪ ট্রলার থেকে ১৮ জন মাঝি-মাল্লা ও শ্রমিককে উদ্ধার করে। নিখোঁজ বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- এমভি আল্লাহর দান ট্রালের মাঝি জিয়া উদ্দিন, এমভি তৌফিক ইলাহির মাঝি মানিক মানিক, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ মানিক, মনসুর উদ্দিন, বদি আলম, আবু হানিফ, জাবেদ আহমেদ, মোহাম্মদ আনিস, মোহাম্মদ আহিম, সোহেল মিয়া। তারা চট্টগ্রামের বাঁশখালী এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
কুতুবদিয়ার এমভি তৌফিক ইলাহি ট্রলারের মাঝি মানিক মিয়া বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে কুতুবদিয়া থেকে লবণ বোঝাই করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলাম। আজ ভোরে আনোয়ারা উপকূলে এসে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে আমাদের ট্রলারসহ প্রায় ১৬টি ট্রলার ডুবে যায়।
তিনি জানান, প্রতিটি ট্রলারে ৬ জন করে মাঝি-মাল্লা ছিল। এর মধ্যে কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশের সহযোগিতায় ১৮ জন মাঝি-মাল্লা এবং ৪টি ট্রলার উদ্ধার করা হলেও ১২টি ট্রলারসহ বাকি ৭২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
বার আউলিয়া ঘাট নৌপুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ টিটু জানান, লবণবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৪টি ট্রলারের উদ্ধার হওয়া ১২ জন তাদের হেফাজতে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ৪ জন কোস্ট গার্ড স্টেশনে রয়েছে।
বাকি ট্রলারসহ নিখোঁজ বাকিদের উদ্ধারে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।