শিল্পের বর্জ্যপানি পরিবেশের জন্য হুমকি। কারণ বর্জ্যপানিতে রয়েছে বিভিন্ন রাসায়নিক, ভারী ধাতু এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থ; যা মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বর্জ্যপানি পরিশোধন করে কীভাবে তা পুনরায় ব্যবহার করা যায়, বাংলাদেশে এ প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পানি পরিশোধনকারী কোম্পানি ডুপোন্ট ওয়াটার সল্যুশনস। বাংলাদেশে তাদের একমাত্র পরিবেশক ওয়াটার টেকনোলজি লিমিটেড; যারা রিভার্স অসমোসিস (আরও), আল্টাফিল্টারেশন (ইউএফ) ও মেমব্রেইন বায়োরিয়েক্টর (এমবিআর) প্রযুক্তিপণ্য সরবরাহ করে থাকে।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘শিল্পে পানির ব্যবহারে সঠিক সমাধান এবং ধারণা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ প্রযুক্তির নানা দিক তুলে ধরে ডুপোন্ট ওয়াটার সল্যুশনস। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী বাড়ছে পরিবেশবান্ধব পণ্যের চাহিদা। এ ধরনের পণ্য উৎপাদনে কারখানাকেও হতে হয় পরিবেশবান্ধব। সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়। তাই কারখানায় পানির অপচয় কমিয়ে শিল্পকারখানায় ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে নদী এবং সাগরের প্রাকৃতিক পানি ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে শিল্পের বর্জ্য পরিশোধন করে তা থেকে পানি সংগ্রহ করে পুনর্ব্যবহারে জোর দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। সঠিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা পানির ব্যবহারে বাংলাদেশ কীভাবে উপকৃত হতে পারে সে বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেন তারা।
অনুষ্ঠানে ডুপোন্ট ওয়াটার সল্যুশনসের আঞ্চলিক প্রধান ক্রিস ফার্নান্দেস বলেন, বাংলাদেশে নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন হচ্ছে। এসব অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। শিল্প খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও বাড়ছে। কিন্তু শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দুর্বলতা রয়ে গেছে। উৎপাদন বাড়াতে এ দুর্বলতা কাটাতে হবে।
বর্জ্য থেকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় পানি সংগ্রহ করা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পানির নিরাপদ ব্যবহারে প্রয়োজন সঠিক প্রযুক্তি। বর্জ্য পরিশোধনের পানি নদীতে না ফেলে দিয়ে তা পুনরায় ব্যবহার করা যায়। এতে শিল্পের খরচ সাশ্রয় হয়। পরিবেশ রক্ষায় বর্জ্য এবং পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। অনুষ্ঠানে ওয়াটার টেকনোলজি বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনামুল হাবিব বলেন, আন্তর্জাতিকভাবেই শিল্পবর্জ্য এবং প্রাকৃতিক পানির সঠিক ব্যবহারে আইন হচ্ছে। বাংলাদেশও এটি অনুসরণ করছে। পণ্যের সঠিক বাজার এবং উপযুক্ত দাম পেতে পানি ব্যবহারেও সতর্ক হতে হবে। এ জন্য শিল্প মালিকদেরও সঠিক ধারণা থাকা দরকার যে, কীভাবে কম খরচে পানি এবং বর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার করা যায়।