কামরুলের এজেন্ট না থাকার অভিযোগ তোলা কেন্দ্রে গিয়ে যা দেখা গেল

0
144
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দুটি কেন্দ্রে এজেন্টদের ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান।

আজ সকাল ৯টার দিকে আলেকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ তোলেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের এই মেয়র প্রার্থী।

এজেন্ট প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠা  দুটি কেন্দ্রে হলো জাহানারা গোলাম মাওলা হাফেজীয়া ও কওমীয়া মহিলা মাদ্রাসা এবং ৬৬ নং মতিনপুর শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়।

কামরুল আহসান এমন অভিযোগ করার পর সেই দুটি কেন্দ্রে যান এই প্রতিবেদক। আজ বেলা ১টার দিকে এই কেন্দ্র দুটিতে গিয়ে দেখা যায়, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের এজেন্টরা সেখানে আছেন।

বরিশালে দুই কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুলের

জাহানারা গোলাম মাওলা হাফেজীয়া ও কওমীয়া মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্রের একটি বুথের টেবিল ঘড়ি প্রতীকের এজেন্ট লায়লা আক্তার বলেন, ‘আমাদের এজেন্টের তালিকার ফরমে মেয়রপ্রার্থীর সই ছিল না। এ জন্য আমাদের প্রথমে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরে সই করলে সাড়ে ৯টার পর আমাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। তারপর আর সমস্যা হয়নি। ভেতরে ভোট ভালোভাবে হচ্ছে।’

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘মেয়রপ্রার্থী এজেন্টের যে তালিকা দিয়েছিলেন, তাতে সই ছিল না তাঁর। সই না থাকায় আমি এজেন্টদের প্রবেশ করতে দিইনি। পরে প্রার্থী নিজে এসে ফরমে সই করলে এজেন্টদের প্রবেশ করতে দিই।’

মতিনপুর শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিনটি বুথে গেলে সবগুলোতেই এজেন্ট পাওয়া যায়। কাওছার নামে এই প্রার্থীর এক এজেন্ট বলেন, ‘আমি সাড়ে ৮টার দিকে এসেছি। প্রবেশ করতে সমস্যা হয়নি।’

মো. হারুন হাওলাদার নামে আরেক এজেন্ট বলেন, আমার কার্ডে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রথমে সই করেননি। বলেছেন, ব্যস্ত ছিলেন। আধা ঘণ্টা পরে সই করেছেন।
এ বিষয়ে এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এম এম জিয়াউর রহমান বলেন, ‘যারা এসেছিলেন, সব এজেন্টকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.