বিশ্বকাপের সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দুর্বল কানাডার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। টানা দুই ম্যাচ হারের পর এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প কিছু ছিল না বাবর-রিজওয়ানদের সামনে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার (১১ জুন) আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ১০৭ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় কানাডা। জবাব দিতে ৭ উইকেট এবং বল ১৫ হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। এতে সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাবর-আমিররা।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১২ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সায়েম আইয়ুব। এরপর বাবরকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে ছুটতে থাকে পাকিস্তান। তবে ৩৩ বলে ৩৩ রান করে কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বাবর। কিন্তু এক প্রান্ত আগরে রেখে ৫২ বলে ফিফটি তুলে নেন রিজওয়ান।
শেষ পর্যন্ত ফখর জামানের ৬ বলে ৪ রান এবং রিজওয়ানের ৫৩ বলের অপরাজিত ৫৩ রানে ভর করে ৭ উইকেট এবং বল ১৫ হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
কানাডার হয়ে ডিলন হেইলিগার দুটি এবং জেরেমি গর্ডন এক উইকেট শিকার করেন
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর উপর চড়াও হন কানাডার দুই ওপেনার অ্যারন জনসন এবং নবনিত ঢালিওয়াল।
তৃতীয় ওভারে আমিরের হাতে বল তুলে দেন বাবর আজম। ৭ বলে ৪ রান করা ঢালিওয়ালকে বোল্ড আউট করে পাকিস্তানকে ব্রেকথ্রু এনে দেন এই বাঁহাতি পেসার। এরপর থেকে শুরু হয় কানাডা উইকেট মিছিল।
পরগত সিং (২), নিকোলাস কারটন (১), শ্রেয়াস মোভা (২) এবং রবিন্দরপাল সিং শূন্য রানে আউট হলেও পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন ওপেনার জনসন। ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার।
এরপর পিচে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি জনসন। ১৪তম ওভারে নাসিমের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। ৪৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সাদ বিন জাফর । তবে ১৭তম ওভারে জাফরকে আউট করে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন আমির। ২১ বলে ১০ রান করেন জাফর।
শেষ পর্যন্ত ডিলন হেইলিগারের ১০ বলে ৮ রান এবং কলিম সানার ১৪ বলের অপরাজিত ১৩ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রানের লড়াকু পুঁজি পায় কানাডার।