দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কানাডার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ওসারিওর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ক্রোয়েশিয়াও গোল ব্যবধান বাড়াতে পারত। মদরিচের ক্রস থেকে ক্রামারিচের শট অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়। তবে ক্রামারিচ নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান এর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই। কানাডিয়ান রক্ষণভাগকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে সেই পেরিসিচের পাস থেকেই গোল পান ক্রামারিচ।
এর আগে অবশ্য কানাডার জে ডেভিডের দূরপাল্লার শট ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার দমিনিক লিভাকোভিচ কোনোমতে আঙুল ছুঁয়ে পোস্টের ওপর দিয়ে পার করে দেন। ৩-১ গোল পিছিয়ে পড়ার পরও কানাডা আক্রমণ করেছে। কিন্তু ক্রোয়াট অভিজ্ঞতার সামনে বেশি সুবিধা করতে পারেনি।
যোগ করা সময়ে স্কোর লাইন ৪-১ বানিয়ে ফেলে ক্রোয়েশিয়া। নিজেদের সীমানা থেকে বাড়ানো বল ওরসিচ ধরে যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর সামনে কেবল কানাডিয়ান গোলকিপার বোরজান। কিন্তু তিনি গোলে না মেরে তা পাশে বাড়িয়ে দেন লোভরো মায়েরের দিকে। মায়েরের তা গোলে ঠেলতে তেমন কষ্ট হয়নি।
প্রথম ম্যাচে মরক্কোর সঙ্গে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। তবে আজ কানাডার বিপক্ষে নিজেদের শক্তিটা দেখিয়েছে ক্রোয়াটরা। তাদের পরের ম্যাচ বেলজিয়ামের বিপক্ষে। তবে আজকের এই ম্যাচের পর বেলজিয়ানদের জন্য ক্রোয়েশিয়া যে অগ্নিপরীক্ষা হতে যাচ্ছে, সেটি বলাই যায়। ওই ম্যাচটি যে এখন নক আউট লড়াইই।