রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ও এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কাচালং সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় এই কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ৪৬৮ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কলেজ ও আশপাশের এলাকার সব সড়ক তলিয়ে গেছে।
বুধবার (৩ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের প্রধান সড়কটি ডুবে রয়েছে। এ ছাড়া কলেজের নিচ তলার সবকটি রুম (পরীক্ষা কেন্দ্র) তলিয়ে গেছে। শুধু এইচএসসি পরীক্ষা নয়, কলেজে আজ থেকে শুরু হয়েছে ডিগ্রি ২য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। নৌকায় করে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে তাদের।
এ বিষয়ে ডিগ্রি ২য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কলেজ তলিয়ে গেছে। তবুও শত কষ্ট করে হলেও নৌকা দিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছি।’
কাচালং সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ডিগ্রি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৭৪ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা কোনমতে চার তলায় নিয়েছি। বৃহস্পতিবার থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা খুবই চিন্তিত বন্যার কারণে ৪৬৮ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা কীভাবে নেবো, বুঝতে পারছি না। ইতোমধ্যে বন্যার বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা বন্ধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। রাত পোহালে এইচএসসি পরীক্ষা। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উৎকণ্ঠায় রয়েছে। এই পানি মাড়িয়ে কীভাবে কেন্দ্রে যাবে শিক্ষার্থীরা, সেটি নিয়েও আমরাও উদ্বিগ্ন।’
এইচএসসি পরীক্ষার্থী রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা বাড়িতেও পানিবন্দি অবস্থায় আছি। পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে যে রকম পড়াশোনার পরিবেশ দরকার তা একদমই নেই। ঘরে পড়ার মতো পরিবেশ নাই। আমার অভিভাবক এ বিষয়ে খুবই চিন্তিত।’
শুধু রেজাউল নয়, একই চিত্র উপজেলার বেশির ভাগ বাড়িতে।
এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে কৃতিত্ব চাকমা (১২) নামে এক স্কুলছাত্র রাস্তা পার হতে গিয়ে বন্যায় ভেসে যান। এখনও ওই ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে।
ইয়াছিন রানা সোহেল