কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইউএসএআইডি এবং বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের যুব সংগঠন ও বেসরকারি খাত যেন একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেজন্য নতুন অংশীদারিত্ব স্থাপনের জন্য কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে বাস্তবায়িত এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো যুবদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি অর্জন করা।
এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে ইউএসএআইডি এবং বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে ।
ইউএসএআইডির পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন এশিয়া অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার ও ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড অ্যাশলিম্যান।
বাংলাদেশের পক্ষে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন শিক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শিখোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীর চৌধুরী।
মার্কিন দূতাবাস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, ডিজিটাল পেমেন্ট প্রতিষ্ঠান ভিসা, শিক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শিখো, ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের মতো বাংলাদেশের যুব সংগঠনগুলোর সংযোগ ঘটাতে ইউএসএআইডির উদ্যোগে দেশে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়ুথ-প্রাইভেট সেক্টর মার্কেটপ্লেস।
দেশের কর্মশক্তি আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা চিহ্নিত করে, সে বিষয়ে দক্ষ হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরও সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি-এর এশিয়া অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার বলেন, বাজারে চাহিদা আছে এমন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে, এদেশের তরুণরা দেশকে আরো প্রতিযোগিতাসম্পন্ন ও পরবর্তী এশিয়ান টাইগার-রয়েল বেঙ্গল টাইগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে সমৃদ্ধিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।
মার্কিন দূতাবাস আরও বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি এবং কর্মক্ষেত্রে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইউএসএআইডি-এর শিক্ষা ও যুব বিষয়ক কার্যক্রমগুলো বেশি করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ খুঁজছে। যুক্তরাষ্ট্র ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনে সহিষ্ণুতা বাড়াতে বাংলাদেশকে আট বিলিয়ন ডলার বা সাড়ে আটশ কোটি টাকার বেশি সহায়তা দিয়েছে।