আইএফআরসির সাবডেলিগেশন প্রধান ঋষিকেশ হরিচন্দন বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছর ধরে যারা ক্যাম্পে কঠোর পরিশ্রম করে টিকে আছে, তেমন হাজার হাজার পরিবারের কষ্টকে ছাইয়ে পরিণত করেছে এই আগুন। বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের সবকিছু হারিয়েছে। তাদের জন্য বসবাস উপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য আমাদের আরও বেশি সমন্বয় প্রয়োজন। এ ধরনের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১১) গতকাল রোববার অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। এর ফলে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছে। ভয়াবহ এ আগুন নেভাতে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের সঙ্গে কাজ করেন বিডিআরসিএসের প্রশিক্ষিত ২০০ স্বেচ্ছাসেবক।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা শিবিরে জরুরি সাড়াদানে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৩ হাজার ৩০০ প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজের (আইএফআরসি) সহযোগিতায় প্রশিক্ষিত এই স্বেচ্ছাসেবকেরা শিবিরের বাসিন্দাদের দুর্যোগপ্রস্তুতি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।