কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় পিকআপ ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সড়কের মামা-ভাগিনার দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারলেও গুরুতর আহত অপর এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেনি। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত তিন এসএসসি পরীক্ষার্থী হলো আফনান বেগম, আইরিন জান্নাত ও সাইমা সোলতানা। তারা তিনজনই মগনামা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং পেকুয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই তিন পরীক্ষার্থী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে মগনামা এলাকা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র পেকুয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মামা-ভাগিনার দোকান এলাকায় অটোরিকশাটির সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের (ডাম্প ট্রাক) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তারা তিনজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাজে চৌধুরী বলেন, আহত তিন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আফনান বেগমের অবস্থা গুরুতর। সে মাথায় ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত আইরিন জান্নাত ও সাইমা সোলতানা মাথায়, হাতে ও পায়ে আঘাত পেয়েছে। তবে তা গুরুতর নয়। আইরিনের মাথায় ব্যান্ডেজ, হাতে স্যালাইন ও সাইমাকে হাতে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্য দুজনকে পেকুয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। ডাম্প ট্রাক ও অটোরিকশাটি পুলিশ জব্দ করেছে।
পেকুয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের নিচতলার একটি কক্ষে মাথায় ব্যান্ডেজ ও বাঁ হাতে স্যালাইন দেওয়া অবস্থায় জানালার পাশে বসে আইরিন জান্নাতকে পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে। আর দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে পরীক্ষা দেয় সাইমা সোলতানা।
পেকুয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব আবুল হাসেম বলেন, আহত দুই পরীক্ষার্থীর বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা বিশেষ নজরদারি করেছেন। ইউএনও পূর্বিতা চাকমাও আহত পরীক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিয়েছেন।
পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আহত পরীক্ষার্থী আইরিন জান্নাত বলে, ‘আজ ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। মাথা, পা ও হাতে আঘাত নিয়ে পরীক্ষা দিলেও পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হয়েছে।’