ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ড্র করলেও ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা। তবে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে লিটন বাহিনী। আর এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের ব্যর্থতা। ম্যাচ শেষে এমন মন্তব্য করেছেন টাইগার অধিনায়ক।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন বলেন, আমরা টেস্ট ও ওয়ানডেতে খুব ভালো খেলেছি। যদিও দুর্ভাগ্যবশত জিততে পারিনি, তবে আত্মবিশ্বাসটা ছিল। আমরা জানি খুব ভালো বোলিং উইকেট ছিল এখানে। য দি আমরা ভালো একটা রান করতে পারি, ম্যাচ জেতার মতো বোলার আছে আমাদের।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে শুরু হয়েছে ফিল সিমন্স অধ্যায়। ঘরের মাঠে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এবং দুবাইতে আফগানদের কাছে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল টাইগাররা। তাই এই সিরিজে কোচের পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল কিনা জানতে চাওয়া হয় লিটনের কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, সিমন্স কখনও চাপ দেন না, ক্রিকেট খেলায় আমরা স্বাধীনতা পাই। শুধু সে না কিন্তু সব কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজম্যান্ট সাহায্য করেছে। আমরা প্রতিদিনই উন্নতি করছি। এই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল। আমাদের বোলাররা যা করেছে, চমৎকার।
তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন মাহেদী হাসান। তিনি হয়েছেন সিরিজ সেরাও। অথচ মাস ছয়েক আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি মাহেদী। তখন কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে আফসোস নেই মাহেদীর। তবে এই উইকেটে কীভাবে বল করতে হবে, বুঝে গিয়েছিলেন তখনই।
তিনি বলেন, আমি এই ধরনের বোলিং উইকেট উপভোগ করি। কারণ বিশ্বকাপের সময় দেখেছি, এই উইকেটে টার্ন করে, বল নিচু হয়। এই সিরিজের আগে আমরা পরিকল্পনা করছিলাম, উইকেট টু উইকেট বল করতে হবে। এই ধরনের উইকেটে একুরেসিটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।