ঢাকায় গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি সংঘাত চায় না, শান্তিপূর্ণ উপায়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সংকটের সমাধান চায়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটির জাতীয় সম্মেলনের জন্য বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেছেন। তারিখ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। তাই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২৪ ডিসেম্বর তারা ঢাকায় গণমিছিল করবেন না। তবে সারা দেশের জেলা ও মহানগরে সেদিন (২৪ ডিসেম্বর) গণমিছিলের কর্মসূচি হবে।
ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের কর্মসূচির নতুন তারিখ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের যে আন্দোলন, যথাযথ নির্বাচনের দাবি আদায়ের যে লড়াই, সে জন্য জনগণকে ৩০ ডিসেম্বর স্মরণ করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০১৮ সালের এই দিনে বর্তমান সরকার দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসেছে।’
অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনে যুক্ত বলে উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, অনেকেই একই দিন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ জন্য সেসব দলকে তাঁরা ধন্যবাদ দিচ্ছেন। তাঁরা আশা করছেন, যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে।
২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন হবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আওয়ামী লীগের সম্মেলন বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হলে তারা যাবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘রাজনীতিতে যদি বলে কোনো শব্দ নেই। যদি দাওয়াত দেওয়া হয়, এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রমুখ।