‘মানি হানি’, ‘মহানগর’ থেকে ‘মিশন হান্টডাউন’—টিভি নাটকের তুলনায় আপনার ওটিটির কাজগুলোই দর্শকমহলে বেশি আলোচিত হয়েছে।
টিভি নাটক আমার শিকড়, টিভি নাটক কখনোই ছাড়ব না। ওটিটিতেও কাজ করে ভালো লাগছে। ওটিটির কাজে বেশি প্রশংসা পেয়েছি। আইফ্লিক্সের দ্য নক নামে একটি কাজ করি। পরে হইচইয়ের ‘মানি হানি’ করি, কাজটি আমার জন্য আশীর্বাদ। ‘মানি হানি’ আমার ক্যারিয়ারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ‘মানি হানি’ না করলে হয়তো ‘মহানগর’, ‘মিশন হান্টডাউন’ করা হতো না। হইচই, চরকি, বায়োস্কোপ, বিঞ্জসহ সব ওটিটিতেই কাজ করেছি। নাটকে একজন কিংবা দুজনের ওপর ভিত্তি করে গল্প সাজানো হয়। ওটিটিতে তিনজন, চারজন কিংবা পাঁচজন প্রোটাগনিস্ট থাকে, প্রতিটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা চরিত্রেই আলাদা গল্প আছে, কাউকেই ফেলে দেওয়া যাবে না।
‘মিশন হান্টডাউন’ সিরিজে যুক্ত হলেন কীভাবে?
হইচই থেকে সিরিজটির কথা বলা হয়েছিল। পরে পরিচালকের টিম থেকে চিত্রনাট্য দেওয়া হয়। সাবিলা চরিত্রটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। সিরিজের মূল গল্পের চেয়ে সাবিলা ও মাহিদের (এফ এস নাঈম) গল্পটা একদমই আলাদা। আমার মনে হয়েছে, চরিত্রটি করতে হবে। সিরিজের দৃশ্যধারণ হয়েছে উত্তরায়। সিরিজের নির্মাতা সানী সানোয়ার ভাই, ফয়সাল আহমেদ অনেক সহযোগিতা করেছেন। নাঈম ভাইয়ের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। তাঁর সঙ্গে সব সময়ই কাজের অভিজ্ঞতা ভালো থাকে, তিনি শুধু সহশিল্পীই নন, বন্ধুও।
টিভি নাটক নাকি ওটিটি, কোন মাধ্যমকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান?
টিভি নাটকে ও ওটিটিতে সমানভাবে কাজ করছি। আমার চরিত্র, গল্প বিবেচনা করি। ওটিটি, টিভি নাটক কিংবা সিনেমা—সেটা কোনো বিষয় নয়। আমি নিজেকে কীভাবে তুলে ধরছি, এটা বিবেচ্য বিষয়।
সিনেমা করার পরিকল্পনা রয়েছে?
অবশ্যই সিনেমা করতে চাই, প্রত্যেক শিল্পীরই সিনেমা করার ইচ্ছা থাকে। অনেক চিত্রনাট্য আসছে। কোনো চিত্রনাট্য পড়ে মনে হয়নি, এই চরিত্রটি করতে চাই।
কোন ধরনের সিনেমা আপনার পছন্দ?
আয়নাবাজি আমার খুব পছন্দের সিনেমা। হাওয়া, টেলিভিশনও পছন্দের। আমি সব ধরনের সিনেমা পছন্দ করি। যে গল্পটা পড়ে আমার মনে হবে এই চরিত্রে অভিনয় করতে চাই—সেটা পুরোপুরি গল্পের ওপর নির্ভর করবে।
সামনে আপনার কী কাজ আসছে?
ওটিটিতে একাধিক কাজ আসছে, তবে বলা বারণ। বায়োস্কোপের জন্য অনিমেষ আইচের একটি কাজ আসছে। গোলাম সোহরাব দোদুল ভাইয়ের সঙ্গে তিনটি নাটক করেছি। এর মধ্যে ভাগ্য রেখা ঈদে মুক্তি পেয়েছে, বাকিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।