ওএমএস চালের লাইনে অপেক্ষমান নারীর মৃত্যু

0
236
ওএমএস চাল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ওএমএসের চাল কিনতে লাইনে দাঁড়ানোর পর অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন এক নারী। সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চাল বিক্রি শুরুর কথা সকাল ৯টায়। ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই লোকজন লাইনে দাঁড়াতে থাকে এবং অপেক্ষমানদের চাপও বাড়তে থাকে। অনেকের মতো সকাল ৮টার দিকে লাইনে দাঁড়ান শিখা মালাকার (৩৮)। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। লোকজন ধরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গৃহবধূর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন সীতাকুণ্ড পৌর কাউন্সিলর হারাধন চৌধুরী বাবু। প্রাণ হারানো শিখা মালাকার নোয়াখালী জেলার তপন কুমার দাশের স্ত্রী। তারা দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুণ্ড পৌরসভার নিচতালুক এলাকায় থাকেন। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে।

ওএমএস চালের ডিলার গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সোমবার সকাল ৯টা থেকে আমরা বিক্রির কার্যক্রম শুরু করি। আরও সকাল থেকে জড়ো হতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।’

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ওএমএসের চাল কিনতে এসে এক নারী অজ্ঞান হয়ে পড়লে উপস্থিত লোকজন সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ‘সোমবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে শিখা মালাকারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’

চিকিৎসকের দাবি, নিহত শিখা মালাকারের শরীরে ধাক্কাধাক্কি বা ধস্তাধস্তির কোনো লক্ষণ ছিল না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.