কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে পিএসজির সম্পর্ক বেশ জটিল হয়ে পড়েছে। কোনো পক্ষেরই স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই। চুক্তি অনুযায়ী আরও এক মৌসুম পিএসজিতে থাকার ইচ্ছার কথা জানানোর পরও ক্লাবের সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি। পিএসজির অবস্থান স্পষ্ট, মেয়াদ শেষ করে ফ্রি ট্রান্সফার হিসেবে ক্লাব ছাড়ার সুযোগ নেই। যেতে হলে এবারের দলবদলেই যেতে হবে অথবা পিএসজিতে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে হবে। এমবাপ্পেকে এ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে পিএসজি।
ক্লাব সভাপতি নাসের আল খেলাইফি দ্রুত সিদ্ধান্তের জন্য এমবাপ্পের মা ফাইজা লামারিওর শরণাপন্ন হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা পারিসিয়ান।
এমবাপ্পে-পিএসজির এই জটিল সমীকরণের মধ্যে প্রবেশ করেছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলও।
ফুটবল এজেন্ট মার্কো খিরদেমিরের দাবি, এমবাপ্পেকে দলে টানতে লিভারপুল ২৭ কোটি ইউরোর বেশি খরচ করতে রাজি। অন্যদিকে রিয়ালে খেলা এমবাপ্পের স্বপ্ন হলেও দুই মৌসুম আগে ক্লাবটির ২২ কোটি ইউরোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। তাঁকে কেনা নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার পরও আগ্রহী রিয়াল। তবে রিয়াল চাইছে প্রস্তাবটা আসুক পিএসজির কাছ থেকেই।
এমবাপ্পে-পিএসজির দ্বন্দ্বের শুরু হয় ২০২৪ সালের পর আর চুক্তি না বাড়ানো নিয়ে ক্লাবকে চিঠি দিলে। এ চিঠি মোটেই ভালোভাবে নেয়নি পিএসজি। পিএসজি ক্লাবের মালিক যে কাতারি পরিবার, সেই পরিবার এমবাপ্পের চুক্তি না বাড়ানোর সিদ্ধান্তে হতাশ।
মার্কায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এজেন্ট মার্কো খিরদেমি বলেছেন, ‘কাতারি রাজপরিবার অনেক রাগান্বিত। তারা আত্মবিশ্বাসী ছিল, এমবাপ্পে চুক্তি নবায়ন করবে। কাতারের আমির এ কারণে হতাশ।’ এই এজেন্ট জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই এমবাপ্পের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে
লা পারিসিয়ান জানিয়েছে, ২০ কোটি ইউরোর অফার পেলেই এমবাপ্পেকে ছেড়ে দেবে পিএসজি। অন্যদিকে এমবাপ্পেও ক্লাব ছাড়ার জন্য গত সপ্তাহে নতুন শর্ত দিয়েছেন। মার্কা জানিয়েছিল, ক্ষতিপূরণের অর্থ হাতে পেলেই কেবল বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ড এ দলবদলে পিএসজি ছাড়বেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কতটা জটিল, তা বোঝাই যাচ্ছে।
এ পরিস্থিতি অনুধাবন করেই মূলত এমবাপ্পের মা ফাইজা লামারিওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন খেলাইফি। বড় বড় তারকা নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে ব্যর্থ হওয়া পিএসজি নতুন প্রজেক্ট দ্রুতই শুরু করতে চাইছে। এমবাপ্পে পিএসজি না ছাড়লে এই প্রজেক্ট হবে তাঁকে ঘিরেই। আর যদি তেমনটা না হয়, তাহলে পিএসজির পরবর্তী প্রকল্পের কেন্দ্রে কোনো তারকা নয়, থাকবেন ফরাসি নতুন প্রতিভাবান ফুটবলাররা। সে কারণেই এমবাপ্পেকে নিয়ে তৈরি হওয়া এই সমস্যা দ্রুতই সমাধান করতে চায় পিএসজি।