গ্রুপ পর্বেই বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া সব দৈত্যরাই একবার করে বধ হয়েছে। নিজ নিজ গ্রুপে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স হার দেখেছে। স্পেন ও পর্তুগালের হারে শেষ ষোলোর সমীকরণ বদলে গেছে। একমাত্র দল হিসেবে শুধু ব্রাজিলের তিনে তিন করার সুযোগ ছিল। আসরের সর্বশেষ গ্রুপ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে ওই ব্রাজিলও। ম্যাচের শেষ সময়ে দারুণ হেডে গোল করে নায়ক বনে গেছেন আবুবাকের।
আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত ছিল ব্রাজিলের। হারলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। গ্রুপ সেরাও হয়েছে সেলেসাওরা। তবে আসর থেকে বিদায় নেওয়া ক্যামেরুনের বিপক্ষে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। শুরুর একাদশের নয়জনকেই বদলে ফেলেছিলেন।
আসরের তরুণ এবং সেরা প্রতিভাবান বেঞ্চ বলা হচ্ছিল অ্যান্তনি, মার্টিনেল্লিদের। কিন্তু গোল করে নামের সঙ্গে সুবিচার করতে পারেননি তারা। যদিও ৬৪ শতাংশ বল পায়ে রেখে ২০টি আক্রমণ তুলেছে ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে আসা ব্রাজিল। মার্টিনেল্লি ভালো দুটি শট এবং একটি গোল হওয়ার মতো হেড করেছিলেন। ব্রেমেরের হেডটা গোল না যাওয়াই অবাক হওয়ার মতো। গোলে সাতটি শট নিয়ে কর্তৃত্ব করেও ব্রেক থ্রু পায়নি তিতের দল।
ক্যামেরুনও থেমে থেমে আক্রমণ করেছে। যা রক্ষণে নয়তো গোলরক্ষক এদেরসন মোরালেসে ফিরে এসেছে। কিন্তু শেষ বাঁশি থেকে চার মিনিট আগে ভিনসেন্ট আবুবাকেরের হেড দর্শক হয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না ব্রাজিল গোলরক্ষকের। দূর থেকে লম্বা করে বাড়ানো পাসে তিনি মাথা ছুঁয়েই উদযাপন শুরু করেন। জার্সি খুলে উদযাপনের কারণে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড লাল কার্ড পরিণত হয়। কিন্তু তাতে কোন আক্ষেপ ছিল না আবুবাকেরের। ব্রাজিলকে হারিয়ে দেশকে একটা জয় এনে দিতে পারাই যেন সব তার কাছে।
এই হারে সুইজারল্যান্ড ও ব্রাজিলের পয়েন্ট সমান হলেও দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ সেরা তিতের দল। তারা আগামী ৫ ডিসেম্বর রাত ১টায় ’এইচ’ গ্রুপের রানার্স আপ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।