
ইউরোপের দেশ পর্তুগাল ঘোষণা দিয়েছে, তারা রোববার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ না থাকায় মধ্যপ্রাচ্যনীতি পরিবর্তনে পশ্চিমা দেশগুলোর তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো ইউরোপের এই দেশ।
নিউইয়র্কে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দিয়েছে।
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসরায়েল এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর এই স্বীকৃতি ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার’ শামিল।
ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও নেতানিয়াহুর যুক্তির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি এই স্বীকৃতির সঙ্গে একমত নন।
জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যদেশের মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১২ সালে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের (অ-সদস্য) মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্বনেতারা যখন আগামী মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন ইসরায়েলি ট্যাংক ও সেনারা গাজা শহরে স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অভিযানের ফলে হাজার হাজার মানুষ পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। ইসরায়েলি নৃশংসতায় প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি হতাহত হচ্ছেন।
২০২৩ সালে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বে চালানো হামলার জবাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুসারে, তখন থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের বর্বর হামলায় হামলায় অন্তত ৬৫ হাজার ১৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বিবিসি