এবারের কোপা আমেরিকায় নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না লিওনেল মেসি। কোপা আমেরিকার গত আসরে বলতে গেলে এককভাবে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন মেসি। এরপর কাতারে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতানোয়ও বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনিই। কিন্তু ইনজুরিতে ভোগা মেসি এবারের কোপা আমেরিকায় একের পর এক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। তবে সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে অবশেষে গোলের দেখা পেয়েছেন মেসি।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজ বল পেয়েছিলেন কানাডা রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগে। ডি বক্সের কাছাকাছি থেকে জোরালো শট নেন এই মিডফিল্ডার। তাতে শেষ সময়ে পা ছুঁইয়ে বলের দিক পরিবর্তন করেন লিওনেল মেসি। বল জড়ায় কানাডার জালে। গোলের পর অফসাইড নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। তবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি শেষ পর্যন্ত গোলের সিদ্ধান্ত দেন।
ম্যাচ শেষে একটা প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরেফিরে এসেছে—মেসি কি এনজোর গোলটা কেড়ে নিলেন! মেসি নিজেও গোলটি নিয়ে কথা বলেছেন। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে তিনি জানিয়েছেন, এনজোর গোলটি নিজের নামে লেখানোর উদ্দেশ্য তার ছিল না।
এ ব্যাপারে মেসি বলেন, ‘আমি তাকে (এনজো) বলেছি, আমার কোনো ইচ্ছাই ছিল না তার গোল কেড়ে নেয়ার, কিন্তু আমি দেখছিলাম গোলরক্ষককে ডাইভ দিচ্ছিল এবং বলটা ধীরে আসছিল। এ জন্য আমি বলের দিক পরিবর্তনের জন্য পা ঠেকাই।’
গোলটি যেভাবেই আসুক না কেন, এতে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও গড়েছেন মেসি। সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলে ইরানের আলী দাইয়িকে ছাড়িয়ে দুইয়ে উঠে এসেছেন মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল এখন ১০৯টি। ব্রাজিলের জিজিনিওর পর কোপা আমেরিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি আলাদা আসরে গোলও করেছেন মেসি।