আফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজনের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে দিচ্ছে ক্রিকেটে। আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের সমন্বয়ে ২০০৭ সালে সবশেষ এই কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার ক্রিকেটাররা খেলেছেন এক দলে। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ার সমন্বয়ে গড়া দল ছিল তাদের প্রতিপক্ষ। এবারও যদি এই কাপের আয়োজন হয় তবে সাকিব আল হাসান, বিরাট কোহলি ও বাবর আজমদের একই দলে খেলতে দেখা যেতে পারে।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। অক্টোবরে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলেরও (আইসিসি) সভাপতি হতে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ। অন্যদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বর্তমান সভাপতি মহসিন নাকভির এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান হওয়ার দৌঁড়ে সবার আগে আছেন। ফলে আফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজনের সম্ভাবনা দিন দিন জোরালো হচ্ছে।
ক্রিকবাজ বলছে, দুই বছর আগেই আফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজনের ইঙ্গিত পাওয়া গেয়েছিল। জয় শাহ দ্বিবার্ষিক এই কাপের ধারণা ফেরানোর সম্ভাবনা দেখেছিলেন। তখন তিনি বিসিসিআইয়ের সচিব ও এসিসির প্রধান ছিলেন। আফ্রো-এশিয়া কাপ নিয়ে অনেক প্রক্রিয়া বাকি থাকলেও সবাই ইচ্ছে করলে তা ফেরানো যেতে পারে।
আইসিসির অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও বতসোয়ানা ক্রিকেটের প্রধান সুমোদ দামোদার বলেছেন, আমরা আফ্রো-এশিয়া কাপ পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা করছি। জয় পাশে আছেন, মাহিন্দা ভিল্লাপুরাম (মালয়েশিয়া ক্রিকেটের প্রধান ও আইসিসি পরিচালক) অংশ নিয়েছেন এই আলোচনায়।
দামোদার বলেন, আমাদের এরকমই পরিকল্পনা। তবে এখনও ঠিক হয়নি প্রতিবছর হবে না দ্বিবার্ষিক হবে। এফটিপি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের প্রতিশ্রুতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আইসিসির সহযোগী সকল দেশ ও অঞ্চলকেও সংযুক্ত করার দিকে মনোযোগ রয়েছে আমার। আইসিসির সদস্য ও সহযোগী সদস্য দেশগুলোর মাঝে দূরত্ব মেটাতে চাই এবং তাদের পর্যাপ্ত উন্নতি করতে সাহস যোগাচ্ছে আমার অতীত অভিজ্ঞতা।
২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ন ও ডারবানে অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজনে ভূমিকা রেখেছিলেন দামোদার। তখন একসঙ্গে খেলতে দেখা গিয়েছিল ইনজামাম-উল হক, কুমার সাঙ্গাকারা ও বীরেন্দর শেবাগদের। ২০০৭ সালে ভারতের বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়। এতে এশিয়ার মাহেলা জয়াবর্ধনের নেতৃত্বে খেলছেন সৌরভ গাঙ্গুলি, শহিদ আফ্রিদি, বীরেন্দর শেবাগ, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ আসিফ, মাহেন্দ্র সিং ধোনি ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। এর তিনটি আসর আয়োজনের পরিকল্পনা করা হলেও কিছু জটিলতার কারণে পরে এই প্রতিযোগিতা আর মাঠে গড়ায়নি।