গাজা উপত্যকায় গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এক বছরে ইসরায়েলের জন্য কমপক্ষে ১ হাজার ৭ শ ৯০ কোটি ডলার পরিমাণ সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা ইসরায়েলকে এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো সর্বোচ্চ পরিমাণ সামরিক সহায়তা। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কস্টস অব ওয়ার প্রকল্পের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর জবাবে সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সে ঘটনার বর্ষপূর্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কস্টস অব ওয়ার প্রকল্প। প্রতিবেদনে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সহায়তার হিসাব দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের আয়রন ডোম ডেভিডস স্লিং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে ৪০০ কোটি ডলার খরচ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দুক ও উড়োজাহাজের জ্বালানি বাবদ খরচ করার জন্য দেশটিকে নগদ অর্থ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত এক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক অভিযান চালানোর জন্য অতিরিক্ত ৪৮৬ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে। লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে হুতিদের হামলা ঠেকাতে মার্কিন সামরিক অভিযান বাবদ খরচগুলোকে এ হিসাবের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ইয়েমেনভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের দাবি, গাজার জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে।
গবেষক উইলিয়াম ডি হারটাং ও স্টিফেন সেমলারকে সঙ্গে নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টের অধ্যাপক লিন্ডা জে বিলমেস মার্কিন সহায়তার হিসাব করেছেন। নাইন ইলেভেনের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের চালানো যুদ্ধগুলোর খরচের হিসাবনিকাশও তিনিই করেছিলেন।
আল জাজিরা


















