এক নারী ক্রীড়াবিদের সহায়তায় অন্যদের ধর্ষণ, হয়রানি করতেন তিনি: র‍্যাব

0
63
র‌্যারের মিডিয়া সেন্টারে গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম

এক নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামী বাংলাদেশ জুজুৎসু এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় কারওয়ানবাজারস্থ র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি জুজুৎসু এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটনের বিরুদ্ধে এসোসিয়েশনের এক নারী ক্রীড়াবিদের যৌন হয়রানীসহ বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে জুজুৎসু এসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র‌্যাব-১২’র একটি দল রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিচালনা ধর্ষন মামলার প্রধান আসামি জুজুৎসু এ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক  মো. রফিকুল ইসলাম নিউটন (৬৫) ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ধর্ষণের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দিয়েছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত রফিকুল ইসলাম নিউটন খেলাটির একজন প্রশিক্ষক। পাশাপাশি  বাংলাদেশ জুজুৎসু এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। গ্রেফতারকৃত রফিকুল  প্রশিক্ষণার্থীদের ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এবং বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের মতো অপকর্ম করতো। এছাড়াও সে এসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে খেলোয়ারদের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছে। এমনকি সে অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতো। পরবর্তীতে ধারণকৃত নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করতো ।

তিনি বলেন, মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত রফিক এসোসিয়েশনের গ্রেফতারকৃত অপর এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য নারী খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতো।

বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.