১১টি লাল কোরালের ওজন ৪৫ কেজির বেশি হবে এবং এই মাছ বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকার বেশি পাওয়া যাবে বলে আশা আমিন হোসাইনের। তিনি বলেন, সকাল সাতটার পর থেকে ছেঁড়াদিয়াতে পর্যটকের যাতায়াত শুরু হয়, সমাগম চলে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত। হইচই থাকলে বড়শিতে তেমন মাছ ধরা পড়ে না। অন্ধকার ও নির্জন পরিবেশে পাথরখণ্ডের পানিতে লাল কোরালের বিচরণ দেখা যায়। তবে পাথরখণ্ডে ওঠে বড়শি ফেলা কঠিন কাজ এবং পড়ে হাত পা কাটা পড়ার ভয়ে কেউ ঝুঁকি নিতে চান না। এ ছাড়া পাথরখণ্ডে আটকা পড়লে বড়শিও ছিঁড়ে যায়।
আমিন হোসাইন পেশায় জেলে। এক মাস ধরে সাগরের মাছ ধরার ট্রলার নামছে না, বেকার কয়েক শ জেলে। তাঁর পরিবারে মা, বাবা, স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়ে। আয় রোজগারের তেমন কাজ নেই দ্বীপে। তাই টাকার প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে বড়শি নিয়ে সাগরে যান। বেশির ভাগ সময়ই বড়শিতে মাছ ধরা পড়ে না। আজ একসঙ্গে ১১টি বড় বড় লাল কোরাল ধরা পড়ায় তিনি নিজেও অবাক হয়েছেন। মাছগুলো বিক্রির জন্য সেন্ট মার্টিনের বাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
দ্বীপের মৎস্য ব্যবসায়ী জমির আহমদ বলেন, এখন ১০টি জাহাজে প্রতিদিন সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে আসছেন চার হাজারের বেশি পর্যটক। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আরও দেড় থেকে দুই হাজার বেশি আসেন। পর্যটকেরা সামুদ্রিক মাছ খেতে বেশি পছন্দ করেন। তবে মাসখানেক ধরে সাগরে ইলিশ, রূপচাঁদা, কোরাল, মাইট্যা, পোপা, গুইজ্যা তেমন ধরা পড়ছে না। টেকনাফ থেকে মাছ কিনে আনতে হয়। জেলেদের বড়শিতে মাঝেমধ্যে বড় কোরাল, বোল মাছ ধরা পড়লে সেগুলো বিক্রি করে তাঁরা কিছু টাকা পান, পর্যটকেরাও টাটকা মাছ খেতে পারেন।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরা না পড়ায় ইউনিয়নের তিন শতাধিক নৌকা ঘাটে নোঙর করে আছে। কয়েক শ জেলে বেকার। দ্বীপের চারদিকে পাথরখণ্ড থাকায় জাল ফেলে মাছ শিকার করা যায় না। পাথরখণ্ডের ভেতরে বড়শি ফেলে কিছু জেলে মাছ ধরার চেষ্টা করেন। কারও কারও বড়শিতে মাছ ধরা পড়লে কিছু আয় হয়।