ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ভয়ানক রূপ ধারণ করছে ক্রমেই। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইসরায়েলের ভয়াবহ এক হামলায় ইরানের সেনাপ্রধানসহ ২০ জন সিনিয়র কমান্ডার ও বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হারানোর পর ভয়ংকরভাবে ফুঁসে ওঠে ইরান। প্রতিশোধ হিসেবে শনিবার মধ্যরাত থেকে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে অভিযান শুরু করে তেহরান; শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ব্যর্থ করে দেয় ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হানে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে।
এর মধ্যে শেষ এক ঘণ্টার ব্যবধানে ইসরায়েলের ১০টি বিমান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরানের খাতাম আল-আনবিয়া আকাশ প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কমান্ডার।
রোববার (১৫ জুন) রাতে পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা ও মেহের নিউজ।
বার্তাসংস্থা মেহের নিউজকে ইরানের খাতাম আল-আনবিয়া আকাশ প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কমান্ডার জানিয়েছেন, শেষ এক ঘণ্টার ব্যবধানে তারা দখলদার ইসরায়েলের ১০টি সামরিক বিমান ধ্বংস করেছে তার বাহিনী। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
যে ১০টি বিমান ভূপাতিত করার দাবি এ কমান্ডার করেছেন সেগুলো যুদ্ধবিমান নাকি নজরদারি চালানোর বিমান— সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কোনো কিছু অবশ্য জানাননি তিনি।
এদিকে ইরানে নতুন করে আবারও হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। শনিবার (১৪ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১২টার দিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, এ মুহূর্তে আমরা ইরানে হামলা চালাচ্ছি। ইরানের কাছে এখনও এত অস্ত্র আছে, যা ইসরায়েলের বিশাল ক্ষতি করতে পারে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখনও ইরানের হামলার ঝুঁকিতে আছে। এ কারণে তারা ইরানের সারফেস টু সারফেস মিসাইল ধ্বংসের চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।