চলতি বছর চীনে রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকসান্দার নোভাক। আজ মঙ্গলবার সাংহাইয়ে রাশিয়ান-চাইনিজ বিজনেস ফোরামে তিনি এসব কথা বলেন। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চাচ্ছে মস্কো।
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে চীন সফর করছেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে থাকা প্রতিনিধিদলে রয়েছেন নোভাক।
রাশিয়ান-চাইনিজ বিজনেস ফোরামে নোভাক বলেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের একটি মূল স্তম্ভ জ্বালানি খাত। তিনি আশা করেন, এ বছর জ্বালানি সরবরাহ আগের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়বে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া ঘাটতির মুখে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি কমে গেছে।
ইউরোপের দেশগুলো যেমন রাশিয়ার বিকল্প হিসেবে অন্য দেশ খুঁজছে, তেমনি রাশিয়াও বিকল্প ক্রেতা হিসেবে চীনসহ কয়েকটি দেশের দিকে ঝুঁকেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেইজিং ও মস্কো একটি অংশীদারত্বের অধীনে আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এটি কূটনৈতিক বাধা হিসাবে কাজ করেছে।
রাশিয়ার কৌশলগত মিত্র চীন। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার ঘটনায় চীনের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়নি। তবে দেশটির পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়ে যুদ্ধ বন্ধে সহায়তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
গত মার্চে মস্কো সফর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, যা আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরা ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য বড় ধরনের সমর্থন হিসেবে দেখা হয়।