যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা তুলে নেওয়ার বিল পাস করেছে দেশটির কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট। এর মধ্য দিয়ে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াল যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত বিলের ওপর ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত সিনেটে ভোটাভুটি হয়। ১০০ আসনের সিনেটে বিলটি পাস হতে ৬০ ভোটের দরকার ছিল।
দ্বিদলীয় প্রস্তাবটির পক্ষে সিনেটে ৬৩ ভোট পড়ে। আর বিপক্ষে পড়ে ৩৬ ভোট।
আগের দিন বুধবার এ-সংক্রান্ত বিলের ওপর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়। রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি ৩১৪-১১৭ ভোটে পাস হয়।
কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সম্মতির পর বিলটি এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইনে পরিণত হবে।
বিলটি পাসের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সময়োপযোগী পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘এই দ্বিদলীয় সমঝোতা আমাদের অর্থনীতি ও আমেরিকান জনগণের জন্য একটি বড় বিজয়।’
বাইডেন বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব, বিলটিকে আইনে পরিণত করতে তিনি তাতে স্বাক্ষর করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের সীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বা ৩১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার। গত জানুয়ারি মাসেই এই ঋণসীমা ছুঁয়ে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র।
এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার নানা ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করে দেশটির বিভিন্ন দেনা পরিশোধ করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর শেষ তারিখ ৫ জুন। দেশটির ঋণখেলাপি হয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে নির্ধারিত এই সময়ের আগেই কংগ্রেসের একটি সমঝোতায় আসা জরুরি হয়ে পড়েছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই কংগ্রেস এ-সংক্রান্ত বিল অনুমোদন করল।