সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম দেখাতে ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কক্সবাজারকে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের ৩৪ জন কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মিশনপ্রধানকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিশেষ ট্রেনে চড়ে তাঁরা কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছান।
বিদেশি অতিথিদের নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছালে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। রেলস্টেশনে বিদেশি অতিথিদের সম্মানে রাখাইন নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
এ সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল চারটার দিকে কূটনীতিকদের আইকনিক রেলস্টেশনের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রায় ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশনটি নির্মাণ করা হয়। যেখানে থাকা-খাওয়াসহ অত্যাধুনিক সব সুবিধা রাখা হয়েছে। এরপর মন্ত্রী কূটনীতিকদের নিয়ে সড়কপথে ৩২ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে ইনানীর একটি তারকা হোটেলের দিকে রওনা দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেলস্টেশন ঘুরে দেখার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা হুইপ সাইমুম সরওয়ার বলেন, কক্সবাজারে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে। তা ছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কক্সবাজারকে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতে বিশেষ এ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, কাল বুধবার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, মেরিন ড্রাইভ, পাহাড়ি ঝরনার হিমছড়ি, রামুর বৌদ্ধবিহার, উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন শেষে বিকেলে কূটনীতিকদের ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা।
এর আগে ভোরে ট্রেনে ঢাকা থেকে ৩৪ কূটনীতিককে নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, ফ্লাইওভার ও চট্টগ্রামের বর্ধিত অংশ পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর বিশেষ ট্রেনে কক্সবাজারে যাত্রা করেন। দোহাজারি-কক্সবাজার ১০১ কিলোমিটারের নতুন রেলপথ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে কূটনীতিকেরা বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসেডর আউট রিচ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এ সফরে রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিসর ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশনপ্রধান অংশ নেন।