ভারতের নয়াদিল্লির সিরাসপুরে একটি বাড়িতে বেশ উচ্চশব্দে গান বাজছিল। প্রতিবেশী এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর এতে সমস্যা হচ্ছিল। তিনি এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে গুলি করেন তাঁরই প্রতিবেশী।
পুলিশ বলছে, ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর অবস্থা সংকটাপন্ন। তাঁকে গুলির ঘটনায় প্রতিবেশী হরিশ ও তাঁর বন্ধু অমিতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হরিশ তাঁকে গুলি করেন এবং ওই অস্ত্রের মালিক হচ্ছেন অমিত।
জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাত সোয়া ১২টার দিকে তাঁরা গুলির ঘটনায় প্রথম ফোন পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ততক্ষণে রঞ্জু নামের ওই নারীকে শালিমার গড়ে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের উপকমিশনার (আউটার নর্থ) রবি কুমার সিং বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পুলিশকে জানায়, ওই নারীর হাঁটুতে গুলি লেগেছে। এখন পুলিশকে বক্তব্য দেওয়ার মতো অবস্থা নেই তাঁর।
পরে পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শী রঞ্জুর এক আত্মীয়ের বক্তব্য রেকর্ড করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনামতে, গত রোববার ছিল হরিশের ছেলের ‘কুয়ান পুজান’ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান উপলক্ষে ডিজে পার্টির আয়োজন করা হয়। এ সময় রঞ্জু ব্যালকনিতে আসেন এবং হরিশকে গান–বজনা বন্ধ করতে বলেন।
গুলিবিদ্ধ রঞ্জুর মা সামায়পুরের বাদলি সন্ধ্যা দেবী বলেন, চিকিৎসকেরা বলেছেন, রঞ্জুর গর্ভপাত হয়েছে। তাঁর হাঁটুতে গুলি লেগেছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে এবং অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে। তাঁর তিনটি সন্তান রয়েছে।
পুলিশ বলেছে, হরিশ ও অমিতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অস্ত্র আইনেও তাঁদের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, হরিশ ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করেন। অমিত মুঠোফোন মেরামতের দোকানে কাজ করেন।
আহত রঞ্জুর স্বামী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের বাড়ি বিহার রাজ্যে। দিল্লিতে তাঁরা ভাড়া বাসায় থাকেন।