ঈদের ছুটি উপলক্ষে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজে আগাম কক্ষ বুকিংয়ের হিড়িক

0
26

পবিত্র ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি উপলক্ষে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজে বেড়েছে আগাম কক্ষ বুকিং। এরই মধ্যে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশের আগাম বুকিং হয়েছে।

পর্যটকদের কাছে সারা বছরই পছন্দের তালিকায় থাকে রাঙামাটির সাজেক পর্যটনকেন্দ্র। এবার ঈদের ছুটি তুলনামূলক দীর্ঘ হওয়ায় সাজেকে পর্যটক সমাগম অন্যবারের তুলনায় বেশি হবে বলে আশাবাদী পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজে আগাম কক্ষ বুকিং নেওয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত রিসোর্ট-কটেজের প্রায় ৮০ শতাংশের বুকিং হয়েছে। বেশির ভাগ পর্যটক আগাম বুকিং দিয়েছেন ৮ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য। এর মধ্যে ৯ ও ১০ জুন দু-একটি ছাড়া সব রিসোর্ট-কটেজের বুকিং শেষ। এই দুই দিন আগাম কক্ষ বুকিং না দিয়ে সাজেকে এলে পর্যটকদের স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘর, ক্লাবঘরে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির নেতারা। বর্তমানে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে চালু রয়েছে ৯৮টির মতো রিসোর্ট-কটেজ।

সাজেক ভ্যালির হলিডে ও টারেং রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী রিন্টু চাকমা বলেন, ‘আমার দুটি রিসোর্টের মধ্যে টারেং রিসোর্টের ১৩টি কক্ষের আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এই ১৩ কক্ষে ৩৭ জন থাকতে পারেন। অন্যদিকে হলিডে রিসোর্টে এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। ওই রিসোর্টের ২২টি কক্ষে ৫৫ জনের থাকার সুযোগ রয়েছে।’

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, ‘এবার লম্বা ছুটি, তাই পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে চাপ বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। সাজেকেও আগাম বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে। রিসোর্ট-কটেজের ৮০ শতাংশের বুকিং এরই মধ্যে হয়ে গেছে। তবে আগাম বুকিং চলমান। আশা করছি, এবার ঈদের পর সপ্তাহজুড়েই সাজেকে মানুষের ভিড় থাকবে।’

এদিকে সাজেকের মতো জেলা শহর রাঙামাটির হোটেল-মোটেলগুলোতেও আগাম বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে। এরই মধ্যে আবাসিক হোটেল-মোটেলের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছে।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে ৮৭টি কক্ষ রয়েছে। ৮০ শতাংশ কক্ষ এরই মধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। ৯ থেকে ১৩ জুনের জন্য আগাম বুকিং চলছে। তিনি বলেন, গত ঈদুল ফিতরের পর পর্যটন কমপ্লেক্সে ‘সানরাইজ ইকো পার্ক’ নির্মাণ করা হয়েছে, যেখান থেকে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্যসহ চারপাশের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। তাই এবার পর্যটন কমপ্লেক্সে পর্যটকদের আগ্রহ তুলনামূলক বেশি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.