ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান বেনি গ্যান্টজের সঙ্গে যুদ্ধকালীন জরুরি সরকার গঠন করেছেন। বুধবার হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের পঞ্চম দিনে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি।
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সরকারের মেয়াদকাল থাকবে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান বেনি গ্যান্টজ এক বিবৃতিতে বলেন, আজকে মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যুদ্ধকালীন একটি জরুরি সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
‘যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায়’ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক সেনা প্রধান বেনি গ্যান্টজ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। এই ব্যর্থতার জেরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিদায়ঘণ্টা বাজতে পারে। অন্তত ইসরায়েলি ইতিহাস এ কথাই বলছে।
গত শনিবার সকালে ইসরায়েলে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে তারা। একই সঙ্গে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে তারা হামলা চালায়, অনেককে জিম্মিও করে।
হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৯ শ–এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।