ইরানের রাজধানী তেহরানসহ দেশেরটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার পর এখন পর্যন্ত কতজন নিহত হয়েছেন, সেই সংখ্যা জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম।
ফার্স সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) আলজাজিরা জানায়, ইসরায়েলের হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৩২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
ফার্স ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস দ্বারা পরিচালিত হয় এবং ইরান সরকারের আধা-সরকারি রাষ্ট্রীয় মিডিয়া হিসাবে বিবেচিত হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে এরই মধ্যে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় পাঁচ দফা হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া হামলায় ইরানের অন্তত ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছে। তারা হলেন ফেরেয়দুন আব্বাসি, মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি, আব্দুলহামিদ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জোলফাঘারি ও আমিরহোসেইন ফেকহি। ষষ্ঠ জনের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
ইসরাইলের সামরিক অভিযানের পর পাল্টা প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইহুদিবাদী সরকার আমাদের প্রিয় দেশের বুকে তার রক্তাক্ত ও কলুষিত হাত বিস্তার করেছে, আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে আগের থেকেও স্পষ্টভাবে তার বর্বর স্বভাব প্রকাশ করেছে। এর জন্য তাদের কঠিন শাস্তি ভোগ করতেই হবে।
তিনি বলেন, এই হামলার মাধ্যমে ইহুদিবাদীরা নিজেদের জন্য এক তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক পরিণতি ডেকে এনেছে এবং তা তাদের ভোগ করতেই হবে।