ইসরায়েলের হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের ক্ষতি হলো কি না, জানাল ইরান

0
18
ইরান

ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সিনিয়র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ ভাহিদি। তিনি জানান, ইসরায়েলকে মোকাবিলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার এখনো অটুট রয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জেনারেল আহমাদ ভাহিদি বলেন, ইসরায়েলের জবাব দিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি চমৎকার অবস্থায় রয়েছে। ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।

তিনি বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের জবাব দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে শত্রুদের নিষ্ঠুর জবাব দিতে প্রস্তুত ইরান।

ইরানের প্রতিরক্ষাবিষয়ক সংবাদমাধ্যম দেফা প্রেস জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ৩১ হাজার ভবন ও ৪ হাজার যানবাহন সম্পূর্ণ ধ্বংস বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস-কে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ক্ষয়ক্ষতি প্রমাণ করে, চলমান সংঘাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলে ‘অভাবনীয় ও অপূরণীয় ধ্বংস’ এনেছে।

উল্লেখ্য, কোনোপ্রকার উসকানি ছাড়াই গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।

হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও দশজন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে।

ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে গত ২১ জুন দিনগত রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ইসরায়েল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

তবে, ট্রাম্পের এমন দাবি নাকচ করে দেয় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তখনও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। পরদিন বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২ টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইরানি-ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানায়, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরেই যুদ্ধবিরতি সম্মতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। পরে ইরানের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.