সম্প্রতি গাজা হত্যা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অঙ্গন থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার আওয়াজ উঠেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা ফিফা ও উয়েফার কাছে একই দাবি তোলা হয়েছে।
উয়েফা কিছুটা আগ্রহ দেখালেও এতদিন চুপ ছিল ফিফা। তবে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) জুরিখে ফিফা কাউন্সিলের বৈঠকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
তিনি বলেন, যারা ভোগান্তির মধ্যে আছেন, আমাদের ভাবনা তাদের সঙ্গে। এখন ফুটবল থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হতে পারে শান্তি ও ঐক্যের। ফিফা ভূ-রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে না, তবে ফুটবলকে বিশ্বব্যাপী ঐক্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধ ছড়ানোর শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
এদিকে উয়েফার দিলে বল ঠেলে দিয়েছেন ফিফা ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভিক্টর মনটাগলিয়ানি। তিনি বলেন, ইসরায়েল যেহেতু উয়েফার সদস্য, তাই মূল সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব উয়েফার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে, ইসরায়েলের অংশগ্রহণ ঠেকাতে যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তারা লড়বে।
বর্তমানে ইসরায়েলের জাতীয় দল ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উয়েফার গ্রুপে খেলছে। তারা গ্রুপে তৃতীয় স্থানে রয়েছে, শীর্ষে নরওয়ে। অন্যদিকে মাকাবি তেল আবিব ইউরোপা লিগেও অংশ নিচ্ছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আন্তর্জাতিক আইনে সংজ্ঞায়িত গণহত্যার পাঁচটির মধ্যে চারটি কর্মকাণ্ড ইসরায়েল গাজায় চালিয়েছে বলে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। যদিও ইসরায়েল সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, এটি ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ এবং তারা কেবল আত্মরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।