বাড়িতে আগুন লাগলে কিছু মানুষকে উল্লাস করতেও দেখা যায়। অ্যাক্টিভিস্টদের একটি নেটওয়ার্ক বলছে, এসব ভিডিও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার। খোমেনির বাড়িতে যে বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছেন, একাধিক সংবাদ সংস্থাও সেটা নিশ্চিত করেছে। তবে আঞ্চলিক সরকারি কর্তৃপক্ষ অগ্নিসংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
খোমেইন কাউন্টি প্রেস অফিস দাবি করেছে, সেখানে কোনো হামলা হয়নি। ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম বলছে, ‘বাড়িটির বাইরে কয়েকজন মানুষ সমবেত হন। পরে বাড়ির একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ইরানের মহান বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া আয়াতুল্লাহ খোমেনির বাড়ি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত আছে।’
আয়াতুল্লাহ খোমেনির জন্ম ওই বাড়িতে বলে জানা যায়। বাড়িটি এখন জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে খোমেনির জীবনের নানা স্মৃতি সংরক্ষিত আছে। ১৯৭৯ সালে ইরানে যে ইসলামী বিপ্লব হয়, তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ খোমেনি। ওই বিপ্লবের মাধ্যমেই ইরানের তৎকালীন নেতা শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলাভি ক্ষমতাচ্যুত হন। রেজা পাহলাভি পশ্চিমপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিপ্লবের মধ্য দিয়ে খোমেনি ইসলামী বিধানে রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি ইরানের প্রথম সর্বোচ্চ নেতা হন। ১৯৮৯ সালে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর দিন প্রতি বছর ইরানে শোক দিবস পালিত হয়।
ইরানে নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুর পর দুই মাস ধরে দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির উত্তরসূরি, ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন।