পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীতে গত বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব মহালয়ার সময় নৌকাডুবিতে ৭১ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাঁরা হলেন- বোদার মাড়েয়া আউলিয়ার ঘাটের ইজারাদার আব্দুল জব্বার ও নৌকার মাঝি বাচ্চু মিয়া। মঙ্গলবার মাড়েয়া এলাকা থেকে বোদা থানা পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। নৌকাডুবির ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক আসামি এখনও পলাতক।
পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করতোয়ার আওলিয়া ঘাটে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর নৌকাডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে, নৌকাডুবির কারণ হিসেবে ইজারাদার আব্দুল জব্বারের গাফিলতিসহ নৌকার অদক্ষ মাঝি বাচ্চু মিয়া এবং রবিউল ইসলামকে দায়ী করা হয়। এ ছাড়া ধর্মীয় কুসংস্কার, অসচেতনতা, অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই, নৌকায় ত্রুটিসহ আরও কিছু কারণ চিহ্নিত করা হয় প্রতিবেদনে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত প্রতিবেদনেও প্রায় একই বিষয় উঠে আসে। এই তিন তদন্ত প্রতিবেদন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের কাছে পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক সফিকুর রহমান ঘাটের ইজারাদার আব্দুল জব্বার, মাঝি বাচ্চু মিয়া এবং রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে নৌ আদালতে মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে বোদা থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হলে গত মঙ্গলবার ইজারাদার জব্বার ও মাঝি বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘এই মামলার বিষয়ে আমরা তেমন কিছু জানি না। নৌ আদালত থেকে আমাদের কাছে পরোয়ানা আসায় পুলিশ ইজারাদারসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আরেক আসামি রবিউলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’