ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক উইলিয়াম বার্নস। তাঁর দাবি, এই যুদ্ধ গোয়েন্দা সংস্থাটির জন্য ‘সুযোগ’ হিসেবে হাজির হয়েছে।
গতকাল শনিবার যুক্তরাজ্যের ডিচলে ফাউন্ডেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় সিআইএ পরিচালক এসব কথা বলেন। তিনি ইউক্রেনে পুতিনের হামলা চালানোর বিষয়টি ‘আজকে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার জন্য সবচেয়ে জরুরি ও তীব্র ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
এক সপ্তাহ আগে ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। এরপর এমন মন্তব্য করলেন সিআইএর প্রধান।
সিআইএর প্রধান দাবি করেন, ইউক্রেন যুদ্ধ মস্কোর জন্য ‘কৌশলগত পরাজয়’। কেননা, এর মাধ্যমে তাঁদের সামরিক দুর্বলতা ফুটে উঠেছে, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো আরও বিস্তৃত ও শক্তিশালী হয়েছে।
উইলিয়াম বার্নস বলেন, ‘যুদ্ধ নিয়ে এই নাজেহাল অবস্থা রুশ নেতৃত্বকে ক্রমে দুর্বল করবে…আর এটাই সিআইএর জন্য এক প্রজন্মের সুযোগ তৈরি করেছে।’
‘একে (এই সুযোগ) আমরা নষ্ট হতে দেব না’—এ কথা উল্লেখ করে সিআইএর প্রধান বলেন, সম্প্রতি তাঁরা টেলিগ্রামে দেওয়া একটি পোস্টে দেখিয়েছেন, কীভাবে রুশ নাগিরকেরা ডার্ক ওয়েব (ইন্টারনেটের অন্ধকার জগৎ) হয়ে সিআইএর কাছে পৌঁছাতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রথম সপ্তাহে পোস্টটি ২৫ লাখ বার দেখা হয়েছে।
সম্প্রতি ইউক্রেন ঘুরে এসেছেন সিআইএর প্রধান। তিনি সেখানে ইউক্রেনের গোয়েন্দাপ্রধানসহ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন। ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিনের করা বিদ্রোহের আগমুহূর্তের তাঁর এই সফর নিয়ে অবশ্য উইলিয়াম বার্নস কোনো কথা বলেননি।
তবে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ‘অভ্যন্তরীণ দমন-নিপীড়ন ও বহির্বিশ্বের আগ্রাসনের’ ব্যাপারে সতর্কতা উচ্চারণ করেন সিআইএর প্রধান।