রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণে মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসা দিতে পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গুলিস্তানে একটি ভবনে বিস্ফোরণে পরে এখানে এ পর্যন্ত ১২ জনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছেন ও প্রায় ১১২ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল। ভর্তি আছে প্রায় ৬৭ জন। বাকিরা অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
তিনি বলেন, আমরা হাসপাতালে পূর্ণ প্রস্তুতি রেখেছি। আমাদের ডাক্তার, নার্স সবাইকে নিয়ে এসেছি। আমাদের যে ইমার্জেন্সি বিভাগ আছে, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ওয়ার্ডে, যেখানে দরকার, আইসিইউ দরকার হলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের একটি ইমার্জেন্সি সিস্টেম আছে, সবাইকে ডাকার জন্য। যেমন নার্স, ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মকর্তা। তারা সবাই মেসেজ পেয়ে গেছেন ও এখন চিকিৎসা কার্যক্রম চলমান।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা আশপাশের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত করে ব্যবস্থা রেখেছি। চিকিৎসকরাও প্রস্তুত আছেন। এখানে যদি জায়গার অভাব হয়, তাহলে পাশে বার্ন ইউনিটে রোগী রাখতে পারবো। সেখানেও ব্যবস্থান করা আছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও রোগী নিয়ে যেতে পারবো।
এদিন বিকেল পৌনে পাঁচটায় গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার রোডের একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জনকে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গুলিস্তান বিআরটিসি কাউন্টারের দক্ষিণ পাশে একটি পাঁচতলা ভবন এবং তার পাশের আরেকটি সাততলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো ভবনই ধসে পড়েনি। সাততলা ভবনের নিচতলায় একটি স্যানিটারি দোকান ছিল। তার ওপরের কয়েক তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস রয়েছে। বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এখন পর্যন্ত ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে।
জরুরি প্রয়োজনে রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রক্তদানে আগ্রহীদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।