চোটের কারণে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো না থাকায় আগেই জৌলুস হারিয়েছিল ম্যাচটি। যে কারণে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসির দিকে চোখ ছিল সবার। শেষ পর্যন্ত মেসিও ছিলেন না শুরুর একাদশে। তবে পুরো ম্যাচজুড়ে রোমাঞ্চের কোনো অভাব ছিল না। ক্লাব প্রীতি এই ম্যাচে ইন্টার মায়ামিকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আল-নাসর।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে কিংডম এরিনায় রিয়াদ সিজন কাপে ৬-০ গোলের দাপুটে জয় পেয়েছে গ্লোবাল ওয়ানরা। এদিন হ্যাটট্রিক করেছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার আন্দেরসন তালিসকা। একবার করে জালের দেখা পেয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্তো, লুইস কাস্ত্রো এবং মারানে।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠে আল নাসর। ফলে প্রথম ১২ মিনিটের মধ্যেই মায়ামির জালে তিনবার বল পাঠায় আল-নাসর। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে লুইস কাস্ত্রোর দলকে লিড এনে দেন।
এরপর ম্যাচের ১০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান তালিসকা। দুই মিনিটের ব্যবধানে লাপোর্তো আরেকধাপ এগিয়ে নেন নাসরকে। মায়ামির গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার অহেতুক পোস্ট ছেড়ে বাইরে এলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন লাপোর্তো।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫১তম মিনিটে পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়বারে মতো, মায়ামির জাল খুঁজে নেন তালিসকা। এরপর ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে মারানের গোলে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় লুইস কাস্ত্রোর শিষ্যরা।
ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান নাসরের ফরোয়ার্ড অ্যান্ডারসন তালিসকা।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটের মাথায় লিওনার্দো কাম্পানার বদলি হিসেবে মেসিকে নামানো হয়। ৩ মিনিট পর বাঁ-পায়ে গোলের জন্য একটি শট নেন তিনি, যদিও তাতে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলেনি। মেসির শট আটকে দেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার। শেষ পর্যন্ত বড় হারের হতাশায় মাঠ ছাড়ে মায়ামি।