সারা বছরই টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকতে হয় দিয়াকে। এর ওপর বিদেশে টুর্নামেন্টে খেলতে গেলে পড়াশোনার বিঘ্ন ঘটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরও অনুশীলন ও প্রতিযোগিতার পাশাপাশি পড়াশোনার ক্ষতিটা যতটা সম্ভব পুষিয়ে দিতে চাইতেন দিয়া, ‘দেশের বাইরে খেলতে গেলে পড়াশোনা করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু দেশে ফিরে ওই পড়াশোনাটুকু পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতাম। পড়াশোনায় আমার ক্লান্তি নেই। একটু কষ্ট হলেও অনুশীলনের পর পড়তে বসতাম। আমার এত দিনের পরিশ্রমের ফল পেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।’
পরীক্ষার ফলাফল পেয়েই সবার আগে দিনাজপুরে বাবা নূর আলম সিদ্দিকীকে ফোন করে জানিয়েছেন দিয়া। কিন্তু এই খুশির খবর পরিবারের সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারছেন না। আগামী মাসে এশিয়া কাপ স্টেজ ওয়ান টুর্নামেন্টে খেলতে চীনা তাইপে যাবেন। এ জন্য কাল জুনিয়র র্যাঙ্কিংয়ের বাছাইয়ে অংশ নিতে হবে দিয়াকে, ‘আমি চেয়েছিলাম কাল বাড়িতে যাব। কিন্তু র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টের ট্রায়ালের কারণে হয়তো যাওয়া হবে না। এবার পুরোদমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিতে চাই।’
কদিন আগেই দিয়া তীর-প্রথম আলো বর্ষসেরা ক্রীড়া পুরস্কারে ২০২১ সালে বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদের পুরস্কার জিতেছিলেন। ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিকের আর্চারিতে রিকার্ভের মিশ্র ইভেন্টে রোমান সানার সঙ্গে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন দিয়া।